(১) ধাপ-১ প্রস্তাবনার ধাপ– নতুন বাংলাদেশ মান প্রণয়নের জন্য বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠান, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবের ভিত্তিতে বিভাগীয় কমিটির অনুমোদনক্রমে নতুন মান প্রণয়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়।
(২) ধাপ-২ প্রস্ত্তুতির ধাপ– বিভাগীয় কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত প্রস্তাবিত নতুন মানের খসড়া প্রস্ত্ততির জন্য শাখা/কারিগরি কমিটিকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। উক্ত কমিটি খসড়া মান প্রস্ত্তত করে উহা সংশ্লিষ্ট শাখা/কারিগরি কমিটির সচিবের নিকট প্রেরণ করে। খসড়া মান প্রস্ত্ততিতে প্রয়োজনে সাব-কমিটি গঠন করা হয়।
(৩) ধাপ-৩ কমিটি ধাপ– কমিটি কর্তৃক প্রস্ত্ততকৃত খসড়া মানটি পর্য্যালোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট শাখা কমিটিতে উপস্থাপন করা হয়। বিস্তারিত আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় সংশোধন/সংযোজন আনয়নপূর্বক ঐকমত্যের ভিত্তিতে খসড়া বাংলাদেশ মানটি সার্কুলেশনের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়।
(৪) ধাপ-৪ মতামত গ্রহণের ধাপ– শাখা/করিগরি কমিটিতে অনুমোদিত মান জাতীয় স্বার্থে ৬০ দিনের জন্য বিষয় সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাদের নিকট মতামতের জন্য সার্কুলেশন করা হয়। স্টেকহোল্ডাদের নিকট হতে মতামত প্রাপ্তি সাপেক্ষে মানটি মতামতসহ (যদি থাকে) পুণরায় শাখা/কারিগরি কমিটিতে উপন্থাপন করা হয়। কমিটির সদস্যদের সম্মতি সাপেক্ষে উহা শাখা/কারিগরী কমিটি কর্তৃক প্রাথমিক অনুমোদন দেয়া হয়।
(৫) ধাপ-৫ গৃহীত করণের ধাপ– শাখা/কারিগরি কমিটি কর্তৃক প্রাথমিক অনুমোদিত মানটি বিভাগীয় কমিটি কর্তৃক বাংলাদেশ মান হিসেবে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। বিভাগীয় কমিটি কর্তৃক চূড়ান্ত অনুমোদিত বাংলাদেশ মানটি বিএসটিআই’র মহা-পরিচালক মহোদয় কর্তৃক গৃহীতকরণের (endorsement) পর বাংলাদেশ মান হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
(৬) ধাপ-৬ মুদ্রণের ধাপ– চূড়ান্ত অনুমোদিত বাংলাদেশ মানটি বই আকারে বিএসটিআই পাবলিকেশন বিভাগ দ্বারা বিক্রয়ের জন্য মুদ্রণ করা হয়ে থাকে, যা নির্ধারিত সুলভ মূল্যে বিক্রয় করা হয়।
রিভিউঃ
প্রণয়নকৃত বাংলাদেশ মানগুলো সাধারণত ৫(পাঁচ) বছর পর পর চাহিদার ভিত্তিতে প্রযুক্তিগত পরির্বতনের সাথে মিল রেখে আন্তর্জাতিক/আঞ্চলিক মানের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট শাখা/কারিগরি কমিটির সদস্যদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে কনফারম, রিভিশন বা উইথড্রন (প্রত্যাহার) করা হয়ে থাকে।